ভোটের দিনে

ভোটকেন্দ্র ও ভোটারসহ সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমরা জানবো।


নির্বাচন ব্যবস্থাপনা

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারেন। এর মাধ্যমে জনগণ কোনো ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আসার জন্য নির্বাচিত করে। এই নির্বাচনের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত নির্বাচনি ব্যবস্থায় গরিষ্ঠতামূলক শাসন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমুলক ব্যবস্থার উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একক বিজয়ী ব্যবস্থা, বহু বিজয়ী ব্যবস্থা, পছন্দানুক্রম ব্যবস্থা, দলীয়-তালিকা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এবং অতিরিক্ত সদস্য ব্যবস্থারও প্রচলন দেখা যায়। বাংলাদেশে একক বিজয়ী ব্যবস্থা প্রচলিত। এই পদ্ধতি একটি দল বা প্রার্থীই শুধু মাত্র বিজয়ী হতে পারে। এ পদ্ধতিতে যে প্রার্থীর ভোটারগণ একটি মাত্র পছন্দ নির্বাচন করতে পারেন এবং অনেক প্রার্থীর মধ্যে যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে সেই জয়ী হবেন।

নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণার পর হতে প্রার্থী মনোনয়ন, নির্বাচনী প্রচার, ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা ও ফলাফল সংক্রান্ত কার্যক্রম।

তফসিল হলো নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব প্রয়োজনীয় কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্যেও একটি সময় বেঁধে দেয়া হয় তফসিলে।

তফসিল ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

নির্বাচন কমিশন চাইলে সংসদ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ঐ ৯০ দিনের মধ্যে দেয়া নির্বাচনের তারিখ বদলাতে পারে।

সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এই বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।

• মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন – ২৮ নভেম্বর , ২০১৮ • মনোনয়নপত্র বাছাই –২ ডিসেম্বর , ২০১৮ • মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন - ৯ ডিসেম্বর , ২০১৮ • নির্বাচনী প্রচারের শেষ সময় – ২৮ ডিসেম্বর , ২০১৮ • ভোট গ্রহণ – ৩০ ডিসেম্বর , ২০১৮

বাংলাদেশে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাধারণত ৪৫ দিন ব্যয় হয়।

নির্বাচনি এলাকায় নির্বাচন পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন রিটার্নিং অফিসার। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য একজন রিটার্নিং অফিসার ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে পারেন। গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করেন। আইন ও বিধি অনুযায়ী নির্বাচন যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দায়িত্ব রিটার্নিং অফিসারের।

নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করেন। রিটার্নিং অফিসারগণ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার , সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করেন ।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের জন্য এক জন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রত্যেক ভোটকক্ষের জন্য এক জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত হবে।

একটি ভোটকেন্দ্রে দুইজন পোলিং অফিসার থাকে। দুইজনের পৃথক পৃথক কাজ নির্দিষ্ট থাকে। • প্রথম জনের কাজ হলো ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত করা; • দ্বিতীয় জনের কাজ হলো ভোটারের হাতে অমোচনীয় কালি লাগানো।

রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বা প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্ট প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে পারেন। পোলিং এজেন্ট নিয়োগের নোটিশ রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। লিখিতভাবে জানানো না হলে রিটার্নিং অফিসার পোলিং এজেন্টকে গ্রহণ করবেন না। একটি ভোট কক্ষের জন্য একজন প্রার্থী একজন করেই পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন।

ভোটকেন্দ্র

নির্ধারিত ভোটকেন্দ্র জানার উপায় হলো- • নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায় • নিজ এলাকার সবচেয়ে কাছের ভোটকেন্দ্র থেকে অথবা নিজ এলাকায় বিভিন্ন দলের বুথে গিয়েও নিজের ভোটকেন্দ্র জানা সম্ভব। • বিভিন্ন দলের সমর্থকেরা ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে জানিয়ে থাকেন।

ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ভোটার নাম্বার জেনে নিতে হবে। সম্ভব হলে জাতীয় পরিচয়পত্রটি সাথে রাখতে হবে।

কোন ভোটার ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোটারের বায়োমেট্রিক ম্যাচিং বা স্মার্ট কার্ড বা ভোটার নম্বার বা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন।

সকাল আটটার সময় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোটকেন্দ্র আট ঘণ্টা খোলা থাকে।

যদি কোন ভোটার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হন অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধী হন বা অন্য কোন প্রকারে শারীরিকভাবে এমন অসমর্থ হন যে, তাহার কোন সহায়তাকারীর প্রয়োজন, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার কমপক্ষে একুশ বছর বয়স্ক একজন সহায়তাকারীকে সঙ্গে নেয়ার জন্য অনুমতি দিতে পারবেন এবং যদি অসমর্থতা এমন হয় যে, ভোটার ব্যালট পেপারে চিহ্ন দিতে অক্ষম, তাহলে ভোটারের সহায়তাকারী ভোটারের নির্দেশমতো ব্যালট পেপারে চিহ্ন প্রদান করতে পারবেন, তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তি ভোটারের সহায়তাকারী হয়েছেন তিনি স্বয়ং কোন প্রার্থী বা প্রার্থীর এজেন্ট হতে পারবেন না। যদি সহায়তাকারী কর্তৃক ব্যালট পেপার চিহ্নিত করতে হয়, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার তাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিবেন যে, তাকে অবশ্যই ভোটারের পছন্দকৃত প্রার্থীর অনুকূলে ব্যালট পেপারে চিহ্ন প্রদান করতে হবে এবং তিনি ভোটারের পছন্দের বিষয়টি কারও নিকট প্রকাশ করবেন না এবং অবশ্যই ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা করবেন। যেই ক্ষেত্রে ভোটারের পক্ষে সহায়তাকারী কর্তৃক ব্যালট পেপার চিহ্নিত করা হবে, প্রিজাইডিং অফিসার তাদের একটি তালিকা সংরক্ষণ করবেন।

ভোটকেন্দ্রে একজন ভোটার অবশ্যই নিরাপদ থাকবেন। ভোটারের নিরাপত্তার জন্য ভোটকেন্দ্রে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ, বিডিআর, সেনা বাহিনী এবং আনসার সদস্যগণ উপস্থিত থাকবেন।

• ছবিসহ ভোটার তালিকায় ভোটারের ক্রমিক নম্বর, ভোটার নম্বর, এবং ভোটার এলাকার নাম ভোট গ্রহণের আগে জেনে নিতে হবে • কোন ভোটকেন্দ্রে আমাকে ভোট দিতে হবে সেটাও আগে থেকে জেনে নিতে হবে • নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে • নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। এরপর ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে • ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা আমাকে ভোটার হিসেবে সনাক্ত করবেন • ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা আমার বাম হাতের বৃদ্ধা অঙ্গুলিতে অমোচনীয় কালী লাগিয়ে দিবেন • অন্য একজন কর্মকর্তা আমাকে ব্যালট এবং সিল সরবরাহ করবেন • ব্যালট পেপারের অপর পিঠে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার অনুসাক্ষর আছে কিনা সেটা দেখে নিতে হবে • তারপর ব্যালট পেপার চিহ্নিত করার জন্য মার্কিং প্লেসে যাবো • নির্দিষ্ট প্রতীকে সিল দিয়ে ছাপ দেবো • ব্যালট পেপারটি লম্বালম্বিভাবে ভাজ করবো • ব্যালট পেপার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার সামনে রাখা স্বচ্ছ বাক্সে রাখবো • সব শেষে দ্রুত ভোটকেন্দ্রে ত্যাগ করব

যদি কোন ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন যে তার ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে বা জাল ভোট দেয়া হয়েছে তাহলে তিনি সরাসরি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করবেন অথবা ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে তাহলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন। প্রিজাইডিং অফিসার অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তিনি ভোটারকে ভোট দানের সুযোগ করে দেবেন।

যদি কোন ভোটারকে কেউ কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে জোর করেন তাহলে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করবেন অথবা ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে তাহলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন।

যদি কোন ভোটারকে কেউ হুমকি প্রদান করেন তাহলে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করবেন অথবা ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে তাহলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন।

যদি কোন ভোটারকে কেউ কোন প্রার্থীকে ঘুষ দেবার প্রস্তাব দেয় তাহলে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করবেন অথবা ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে তাহলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন।

পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দূরের কোন শহর থেকে ভোট দেয়া যায়।

অনেক সময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য প্রার্থী রিক্সা-ভ্যান পাঠিয়ে দেয়। এই রিক্সা-ভ্যান ব্যবহার করা কোনভাবেই উচিত নয়। এটা প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধির বিপরীত। এই ধরনের কোন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ না করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে অথবা ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে তাহলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন।

অনেক সময় প্রার্থী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে চা-পান-নাস্তা খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এটা অনৈতিক কাজ। ভোটার কোনভাবে এই সব অনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করবেন না। এই ধরনের কোন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ না করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত অথবা ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে তাহলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন।

একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও দুইজন পোলিং অফিসারের অধীনে পৃথক জায়গা বা কক্ষ, যেখানে ভোটারের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা থাকে।

এক বা একাধিক পর্দাঘেরা বা অন্য কোনভাবে ‘মার্কিং প্লেস’ স্থাপন করা হয় , যাতে ভোটারের ভোটের গোপনীয়তা বজায় থাকে।

প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রন ও তদারক সাপেক্ষে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণের সকল দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটগ্রহণের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়।

ভোটার

যিনি ভোট প্রদান করেন তিনিই ভোটার। তবে সবাই ভোট প্রদান করতে পারেন না। নির্বাচন ব্যবস্থা অনুযায়ী ভোটার নির্ধারণ করা হয়। ‘ভোটার’ অর্থ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোন ব্যক্তি। যেমন সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার হওয়ার কয়েকটি শর্ত আছে। যেমন- • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; • ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের হতে হবে; • সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দা হতে হবে; • অপ্রকৃতিস্থ নন ও আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন নাই, এমন নাগরিক ভোটার হতে পারবেন।

আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, সচরাচর কোন একটি এলাকায় বসবাস করেন, আপনার বয়স ১৮ হয়েছে কিন্তু এখনও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি তাহলে আপনি ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটার হওয়া যায় না। কারণ এই সময় ভোটার নিবন্ধন বন্ধ থাকে। এই সময় ছাড়া যে কোন সময় ভোটার হওয়া যায়। উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে আপনার এলাকার শিডিউল মোতাবেক ফরম-২ পূরণ করে ভোটার হতে পারবেন ।

ভোটার হতে হলে নিম্নলিখিত কাগজপত্রের যে কোন একটি প্রয়োজন হয়- • এস.এস.সি সনদ (বয়স প্রমানের সনদ) • জন্ম নিবন্ধন সনদ (বয়স প্রমানের সনদ) • পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / টি.আই.এন - (যদি থাকে) অথবা • ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ অথবা • নাগরিকত্বের সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা • বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর আই.ডি কার্ডের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের পর যে তালিকায় তার নাম ওঠানো হয় সেটাই ভোটার তালিকা।

একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন কতৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ , যা মোট ভোটারের ৫০.৪২ শতাংশ। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১, যা মোট ভোটারের ৪৯.৫৮ শতাংশ।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় যোগ হচ্ছে ৪৩ লাখের বেশি নতুন ভোটার। প্রতিবছর গড়ে ২৫ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন। গত ১০ বছরে নতুন ভোটার বেড়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ।

সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকা তৈরির কাজ বন্ধ থাকে। কাজেই এই সসময় ভোটার হওয়া যায় না।