আরো জানবো

নির্বাচনের সময় আমাদের করণীয় এবং বর্জনীয় সম্পর্কে জানবো, আরো জানবো সংসদ বিষয়ে।


ইভিএম

ইভিএম এর পূর্ণ নাম হলো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন। এটি ভোট প্রদানের একটি সহজতর পদ্ধতি। এটা বিদ্যুৎ বা ব্যাটারিতে চালানো হয়। এর দুইটি অংশ থাকে, একটি কন্ট্রোল ইউনিট অন্যটি ব্যালট ইউনিট। মেশিনটিতে পূর্ব প্রোগ্রামিং করা একটি চিপ থাকে, যা প্রতিটি ভোটারের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব করে প্রদর্শন করে।

ইভিএম মেশিনের দুইটি অংশ থাকে একটি ব্যঅলট ইউনি অন্যটি কন্ট্রোল ইউনিট। ব্যালট ইউনিট হলো ভোটারের ভোট প্রদানের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র বা ডিভাইস । ব্যালট ইউনিটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম, প্রতীক ও ক্রম প্রদর্শিত হবে। কন্ট্রোল ইউনিটের মাধ্যমে ভোটার সনাক্তকরণ, ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু ও ভোট প্রদানের তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পর সহাকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোটার তালিকাসহ কন্ট্রোল ইউনিটে ভোটার বায়োমেট্রিক ম্যাচিং অথবা স্মার্ট কার্ড অথবা ভোটার নম্বর অথবা জাতীয় পচিয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। যদি ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে স্মার্ট কার্ড অথবা ভোটার নম্বর অথবা জাতীয় পচিয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেকট্রনিং ব্যালট ইস্যু করবেন।

একজন ভোটার ইভিএম মেশিনের ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীদের নাম, প্রতীক ও ক্রমিক দেখতে পাবেন।

ভোটদান পর্ব শুরুর আগে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টগণ ডেমো ভোট প্রদান করে মেশিনটির কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করে দেখতে পারেন।
সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ডেমো ভোট শুরুর প্রথমে ইভিএম মেশিনে শূন্য ভোট নিশ্চিত করবেন এবং একজন ডেমো ভোটারকে ভোট দানের জন্য আহবান করবেন।
ডেমো ভোটার ব্যালট ইউনিটে তার পছন্দনীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভোট দিবেন এবং তিনি যাকে ভোট দিলেন সেটা একটি কাগজে লিখে রাখবেন।
ডেমো ভোট গ্রহণের পর ডেমো ফলাফলের জন্য সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার অডিট কার্ড কন্ট্রোল ইউনিটে প্রবেশ করে ভোটারগণকে তাদের ডেমো ভোটের ফলাফল দেখাতে পারবেন।

ভোটাররা ভোট প্রদানের জন্য আঙুলের ছাপ/ভোটার নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে নিজের ভোট দেবেন। এছাড়া অন্য কোনো উপায়ে ভোটার তার নিজেকে ইভিএমে শনাক্ত করার সুযোগ পাবেন না। এক্ষেত্রে শনাক্ত হওয়ার পর সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটারকে ইলেকট্রনিক ব্যালট পেপার দেবেন। ব্যালট ইউনিটে ব্যালট পেপার ইস্যু করার পর ভোটার গোপন কক্ষে প্রবেশ করে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটার তার পছন্দের প্রার্থী এবং প্রতীক দেখে তার বাম দিকের বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন। সবুজ রংয়ের বোতাম চেপে ভোট সম্পন্ন করবেন। ভুল হলে দুইবার বাতিল করে তৃতীয়বার ভোট দিতে পারবেন। ভোটারের ভোটপ্রদান সম্পন্ন হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটে “ভোটগ্রহণ সম্পন্ন” মেসেজটি দেখতে পাবেন আর ভোটার “আপনার ভোট সম্পন্ন হয়েছে” কথাটি শুনতে পাবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬০ সালে প্রথম ই ভি এম মেশিনে ভোট নেয়া হয়।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ১৪টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করেন এবং এতে সফলতা আসে। পরবর্তীতে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন নতুন করে ভোটগ্রহণ পদ্ধতিটি চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে রংপুর ও ২০১৮ সালের মে মাসে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুইটি করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দেশের মোট ছয়টি আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই আসনগুলোর সবগুলো ভোটকেন্দ্রেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আসনগুলো হলো- ঢাকা – ৬ , ঢাকা – ১৩ , চট্টগ্রাম – ৯ , রংপুর – ৩ , খুলনা -২ , সাতক্ষীরা – ২ । দৈবচয়নের মাধ্যমে কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গ্রহণ শেষে পোলিং এজেন্ট এবং আইনগতভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের সামনে ‘ভোট শেষ’ বাটনটি চাপবেন। এর ফলে সেই মেশিনে আর ভোট দান সম্ভব হবে না। • সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গণনার জন্য ইভিএম মেশিনটি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নিয়ে যাবেন।

প্রিজাইডিং অফিসার আইনগতভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সামনে ইভিএম মেশিনের কন্ট্রোল ইউনিট থেকে ফলাফল সংগ্রহ করে মুদ্রণ করবেন। ছাপানো কপিতে তিনি নিজে এবং উপস্থিত পোলিং এজেন্টেরদের স্বাক্ষর গ্রহন করবেন। কেউ স্বাক্ষর প্রদানে অস্বীকার করলে সেটাও লিপিবদ্ধ করবেন। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার পর প্রিজাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত এসডি কার্ড, অডিট কার্ড ও পোলিং কার্ড একটি প্যাকেটে সিলগালা করবেন এবং এটা অন্যান্য নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যাগে রেখে সিলগালা করে ইভিএম এর কন্ট্রোল ইউনিটসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারে নিকট জমা দিবেন।

হ্যাঁ, ইভিএম মেশিনে ভোটের ফলাফল পুনরায় যাচাই করা যায়। রিটার্নিং অফিসার কোন ভোটকেন্দ্রের ইভিএম এর ফলাফল পুরনায় যাচাই করবেন, যদি- • কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট লিখিতভাবে প্রিজাইডিং অফিসারের গণনা সম্পর্কে আপত্তি উপস্থাপন করেন এবং রিটার্নিং অফিসার ঐ আপত্তি সম্পর্কে সন্তুষ্ট হন অথবা • তিনি কমিশন থেকে পুনরায় ভোট গণনা করতে নির্দেশ প্রাপ্ত হয়।

ইন্টারনেট সংযোগ নেই বিধায় হ্যাকিং করার কোন সুযোগ নেই | জালভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রদান, একজনের ভোট অন্যের পক্ষে কোনভাবেই প্রদান করা সম্ভব নয় | নির্ধারিত সময়ের আগে মেশিন চালু হওয়ার সুযোগ নেই বিধায় ভোটগ্রহন শুরুর পূর্বে অবৈধভাবে ভোটগ্রহণ বা প্রদানেরও সুযোগ নেই | পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড হওয়ায় অনুমোদিত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে মেশিন অপারেট করা সম্ভব নয় | কোন অবস্থাতেই অবৈধভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ নেই এমনকি ইভিএম ছিনতাই করে নিলেও তার সুযোগ নেই | বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ও ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বিধায় কেন্দ্র দখল করেও ভোট প্রদান সম্ভব নয় | বায়োমেট্রিক যাচাই করে ভোট প্রদান করতে হয় বিধায় পছন্দমত প্রিজাইডিং/সহ প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করেও ভোট কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই | কোন কারণে ভোটার কেন্দ্রে না গেলে বা মৃত ভোটারের ভোট অন্য কারো পক্ষে প্রদান করা সম্ভব হবে না | ভোটগ্রহনের পর পরই স্বল্প সময়েই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা যায় | ভোট প্রদান শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলাফল প্রিন্ট ও বিতরণ করা সম্ভব | মেশিন ব্যবহার সংক্রান্ত সম্পূর্ণ লগ সংরক্ষিত করা হয় |

ইভিএম মেশিন বার বার যে কোন নির্বাচনে ব্যবহার করা যায়। প্রায় ১৫ বছর পর্যন্ত একটি ইভিএম মেশিনের কার্যকারিতা থাকে।

পর্যবেক্ষণ

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সংস্থাকেই পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলা হয় ।

নির্বাচন কমিশনের অধীনে, যে কোন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের লিখিত অনুমতি প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী । নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যিনি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা অথবা কোন ধরনে অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজ প্রধানত তিনটি- সুষ্ঠুভাবে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা তা দেখা। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে কোন ধরনের ক্রটি যেমন- সব ধরনের উপকরণ এবং কাজগপত্র ঠিক মতো পৌঁছিয়েছে কিনা, সেখানে কোন সমস্যা আছে কিনা, কর্মকর্তাদের কোন ধরনের অদক্ষতা আছে প্রভৃতি দেখা। নির্বাচনী পরিবেশ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সকল কিছুই দেখা এবং তথ্য সংগ্রহ করা।

একাদশতম জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন ১১৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে নিবন্ধিত করেছে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করার জন্য একজন ব্যক্তির যে সব যোগ্যতা থাকতে হবে: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে বয়স ২৫ বা তার বেশি হতে হবে নূন্যতম এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে কোন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতে পারবে না কোন পর্যবেক্ষক সংস্থা কর্তৃক মনোনীত হতে হবে কোন রাজনৈতিক দল বা অঙ্গসংগঠন বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে সম্পর্ক থাকতে পারবে না

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে তবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করছি। নির্বাচনী সময়সূচী ঘোষণা হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পর্যবেক্ষকগণ কোন নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে ইচ্ছুক সেটা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানাতে হবে। আবেদনের সাথে এলাকাভিত্তিক পর্যবেক্ষণের তালিকা প্রদান করতে হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি পাওয়ার সাথে সাথে নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষকদের তালিকা স্থানীয় রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন জমা দেবার সময় প্রত্যেক পর্যবেক্ষকদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং নির্দিষ্ট ফর্মে অঙ্গিকারনামা প্রদান করতে হবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে যে সব কাজ করতে পারবেন আর যে সব কাজ করতে পারবেন না তারই বিধি নিষেধকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা বলা হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষকগণ ভোটকেন্দ্রের ছবি তুলতে পারবেন না; সংবাদ মাধ্যমের সাথে নির্বাচনের দিনে মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না, সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া বা সাক্ষাতকার প্রদান করতে পারবেন না, ভিডিও করতে পারবেন না বা সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না, পর্যবেক্ষকরা গোপনে ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না, সব সময় ইসির সরবরাহ করা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আইনগত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে ভোট গণনার সময় একটি পর্যবেক্ষক দল থেকে একজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না, ব্যালট পেপার চিহ্নিত করার জন্য সংরক্ষিত স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন না, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিতে পারবেন না,

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে কোন পর্যবেক্ষক যদি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেয়াদ বাড়াতে না পারে তাহলে নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে তার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।

বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ১২টি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল এবং নিজস্ব অর্থায়নে কয়েক হাজার দেশীয় পর্যবেক্ষক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। ১২টি দলের প্রত্যেকটিতে দুজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবেন। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ব্রিটেন’স ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়েছে সময় স্বল্পতার কারণে এবার তারা কোন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ দল থাকা দরকার কারণ- নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার যায়; নির্বাচনে অনিয়ম হতে পারে না; ভোটের উপর জনগণের আস্থা বাড়ে; প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়;