নির্বাচনের সময় আমাদের কি করতে হবে আর কি করা যাবে না সেই বিষয়ে বিস্তারিত এখানে।
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ভোটার নাম্বার জেনে নিতে হবে।
সম্ভব হলে জাতীয় পরিচয়পত্রটি সাথে রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে।
নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। এরপর ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
ভোটার গোপন স্থানে ব্যালট পেপারটিতে ভোট প্রদান করবেন।
ব্যালট পেপারটি এমনভাবে ভাঁজ করবেন যাতে ভোট গোপন রাখা যায়।
ভোটার প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে রাখা ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার প্রবেশ করাবেন।
ভোট দেয়ার পর দ্রুত ভোটকেন্দ্রে ত্যাগ করবেন।
ভোটকেন্দ্রে যে কোন সমস্যা হলে তিনি সরাসরি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করবেন অথবা
ভোটকেন্দ্রে যদি মোবাইল কোর্ট থাকে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করবেন।
কোন ব্যক্তি এক সাথে তিনটি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন।
প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সাথে আটটি তথ্য-(শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফৌজদারি মামলা, পেশা, আয়ের উৎস, সম্পদের বিবরণী ) প্রদান করতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী সমান অধিকার পাবে।
প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা বা অন্যান্য প্রচার অভিযানকে বাঁধা দেয়া যাবে না ও জনগণের চলাচলের বাধা সৃষ্টি না করে নির্বাচনী প্রচার করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত সভা সমাবেশের জন্য নির্দিষ্ট অনুমতি নিতে হবে।
কোন সভার ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে।
রাজনৈতিক দলের পোষ্টার সাদা কালো রঙের হতে হবে।
মাইক বা বেশি মাত্রার শব্দের যন্ত্র দুপুর দুই ঘটিকা থেকে রাত আট ঘটিকার মধ্যে ব্যবহার করতে পারবে।
পোস্টারের আয়তন ১৩ ইঞ্চি বাই ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারবে।
একজন প্রার্থী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন।এই বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে।
প্রার্থীকে অবশ্যই রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার নির্বাচনী ব্যায় সংগ্রহের প্রতিটি উৎসের বিবরণ দিতে হবে।
নির্বাচনে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ভোটকেন্দ্রের নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে মোটর সাইকেল বা অন্য কোন যানবাহন চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তফসিল ঘোষণার পর সরকারি যানবাহন বা প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করে কোন দল বা প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নির্বাচনী এলাকায় ভোটার হলে ভোট প্রদানের জন্য সেই এলাকায় যেতে পারবেন।
সরকারী যানবাহন এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করা থেকে বিরত থাকবেন।
নিয়ম মেনে লাইনে না দাঁড়িয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
ভোট দেয়ার পর ভোটকেন্দ্রে ঘোরাফেরা অথবা অবস্থান করা যাবে না।
অন্য কাউকে নির্দিষ্ট কোন প্রার্থীকে ভোট দেবার জন্য জোর করতে পারবেন না।
একাধিকবার ভোট দেয়া বা জাল ভোট দিবেন না।
মিছিল করার জন্য কোন ধরনের যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিদ্যুতের সাহায্যে কোন আলোকসজ্জা করা যাবে না।
প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার করতে পারবেন না।
ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার জন্য কোন ধরনের যানবাহন সরবরাহ করা যাবে না।
কোন প্রার্থী নির্বাচনের আগে কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা, অনুদান বা অঙ্গীকার প্রদান করতে পারবেন না।
কোন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যাবে না।
সরকারি কার্যালয়কে প্রচারের স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
সিটি কর্পোরেশন বা পৌর এলাকায় অবস্থিত কোন দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, খুঁটিতে পোষ্টার লাগানো যাবে না।
কোন সরকারি স্থাপনাতে পোষ্টার লাগানো যাবে না।
কোন যানবাহনে পোষ্টার লাগানো বা ঝুলানো যাবে না।
প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থীর পোস্টারের ওপর পোষ্টার লাগানো যাবে না।
নির্বাচন প্রচারের জন্য কোন ধরনের দেয়াল লিখন করা যাবে না।
চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কোন গেইট বা তোরণ নির্মাণ করতে পারবে না।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে অথবা উস্কানিমূলক বা মানহানিকর কোন বক্তব্য দেয়া যাবে না।
মসজিদ, মন্দির, গির্জায় কোন প্রচারণা চালাতে পারবে না
লিঙ্গ, ধর্মীয় অনুভূতি, সাম্প্রদায়িকতায় আঘাত করে কোন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না
কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা কোনরূপ শোডাউন করা যাবে না।
একজন প্রার্থী প্রতিটি ইউনিয়ন এ একটি এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবে।
কোন নির্বাচনী এলাকায় একই সময়ে সর্বোচ্চ তিনটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন।
নির্বাচনী এলাকায় ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে একটির বেশি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না।
প্রার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় বা সংশ্লিষ্ট জেলায় নির্বাচনী পূর্ব সময়ে কোন সফর বা নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না
কোন সরকারি ডাক বাংলো,রেস্ট হাউস,সার্কিট হাউস অথবা সরকারি কার্যালয়কে কোন প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন প্রচারনায় ব্যবহার করা যাবে না।